Friday, August 22, 2025
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
HomeAgricultureভোলার খামারিরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত

ভোলার খামারিরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত

Print Friendly, PDF & Email

মোঃ সামিরুজ্জামান, ভোলা  প্রতিনিধি: আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভোলার খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রাকৃতিক খাদ্যের মাধ্যমে গরু প্রস্তুত করে বিক্রির জন্য তৈরি করছেন তারা। যদিও পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও এবার লাভের আশা দেখছেন খামারিরা। তবে ভারতীয় গরুর আমদানি নিয়ে তাদের মধ্যে বাড়তি উদ্বেগ রয়েছে।  

খামারিরা জানান, ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হলে দেশি গরুর চাহিদা বাড়বে, ফলে তারা বেশি দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। এদিকে, কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ রোধে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর নজরদারি জোরদার করেছে।  

ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা, বাপ্তা ও রাজাপুরসহ বিভিন্ন খামার সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানি ঈদের সময় স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোলার খামারিদের গরু বিক্রি হয়। এবারও একই প্রত্যাশা নিয়ে খামারিরা খড়, খৈল, কুটা এবং দানাদার খাদ্যসহ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে নিবিষ্ট রয়েছেন।  

খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, “দেশি খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। পশুখাদ্যের দাম এবার কিছুটা বেশি হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা রাখছি।”  

অন্যদিকে, কয়েকজন খামারি জানান, পশু পরিচর্যার খরচ এবং শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তারা হাটে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ভারতীয় গরুর আমদানি অব্যাহত থাকলে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কিত।  

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ এবং হাটে রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান জানান, “পশুর হাট এবং খামারে আমাদের টিম নিয়মিত কাজ করছে। এবারও পশুর হাটে ভেটেরিনারি টিম স্থাপন করা হবে।”  

তিনি আরও জানান, জেলায় কোরবানির জন্য ৯০ হাজার ২৫৩টি গরুর চাহিদার বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া, সরাসরি পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু ও ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খামারিরা আশাবাদী, সঠিক নজরদারি এবং দেশি গরুর চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবার তারা কোরবানির বাজারে ভালো লাভ অর্জন করতে পারবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments