মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নামে এক আইনজীবীকে হত্যার বিচারের দাবিতে ২য় দিনের মত বিক্ষোভ মিছিল করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসের হল চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর ২য় গেট হয়ে সন্তোষ বাজার দিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে মিছিল বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে থেকে শেখ মুজিবুরের রহমানের ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে ফেলে। সেখানে তারা বাকশালসহ বিভিন্ন প্রতিবাদী শব্দ লিখে দেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও রুখে দাও’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসকন সনাতন এক নয় এক নয়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতয়ালী থানা এলাকায় আদালতের অদূরে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) খুন হন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। তখনই সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র-জনতা। গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশের সময় সেই জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।পরে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।
সেই মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেন ভক্তঅনুসারীরা।