Friday, March 28, 2025
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
HomeCampusহাবিপ্রবিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

হাবিপ্রবিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

Print Friendly, PDF & Email

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশব্যাপী দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান  কর্মসূচি চলছে। একই ভাবে দিনাজপুরের  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান  কর্মসূচী পালন করেছেন। যার ফলে সকল ক্লাস,পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে  হাবিপ্রবিতে । 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে ঘন্টা ব্যাপি  অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

উক্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড . ফাহিমা খানম , হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়সহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ ।

হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমাদের এই আন্দোলন হঠাৎ করেই এই অবস্থায় আসেনি৷ আমরা পর্যায়ক্রমে ঘন্টা ব্যাপি, অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন  করে আজকের এই অবস্থায় আসতে বাধ্য হয়েছি। আমরা তরুণ প্রজন্মের জন্য এ লড়াই করছি। আর এই আন্দোলন আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। দাবি আদায় না হওয়া  পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। আমাদের ফেডারেশন যে সিধান্ত নিবে আমরা তাতে অটল থাকবো। 

হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক   ড. সাদেকুর  রহমান বলেন, ১৩ মার্চ অর্থমন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে  এই প্রত্যয় স্কিমের কথা বলা হয়। কিন্তু তারা কি আমাদের সাথে কথা বলেছে?আমরা কি এমন কিছু কখনো চেয়েছি।সরকারের কিছু কূটকৌশলী আমলারা সরকারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর   এমন স্বেচ্ছাচারী প্রত্যয় স্কিম চাপানোর অপচেষ্টা করছে।এমন প্রত্যয় স্কিম প্রতিষ্ঠিত হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশায় আসবে না। আমরা শিক্ষক সমাজ  কখনোই জাতির এমন সর্বনাশ হতে দিবোনা।আমরা আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত সৃষ্টি করেই যাবো।

বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে হাবিপ্রবি প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন,আমরা কখনোই এমন কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচিতে আসতে চাইনি।কিন্তু আমাদের বাধ্য করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ থাকবে আমাদের নায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য। আমরা নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করে এই সোনার বাংলা বিনির্মানে গর্বিত অংশীদার হতে চাই। 

শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে  কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।বন্ধ ছিল দাপ্তরিক কার্যক্রমও। তবে  খোলা ছিল  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এবং স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল। 

এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। তারা মনে করছেন এমন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি দীর্ঘদিন চললে সেশনজট বৃদ্ধি পেতে  পারে।তবে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়।আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেনো সেশনজটের কবলে না পড়ি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments