বাকৃবি প্রতিনিধি: নব্বই দশকের এফএও’র আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফসল উৎপাদনের বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীতা তুলে ধরে। এর পর থেকেই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোরদার করা হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও ফসল ভেদে পরিমাণ নির্ধারণও করা হয়েছিল। এদিকে সবজিকে গ্রহণযোগ্য করতে অসাধুরা সবুজ রঙের ব্যবহার করছে। তাই জনগণকে সবজির ভালো-মন্দ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
বিশ্ব ডিম দিবস ও বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য’ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
প্রাণী খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, পশুর ফীডে কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা যা মানুষের শরীরে ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা জুরুরি। হার্বিসাইড বা আগাছানাশক ব্যবহারের ফলে গরু, ছাগল বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে। লাইভস্টোক সেক্টর রক্ষার্থে আগাছানাশক বন্ধ করতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের আয়োজনে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মি. জাকারিয়া, রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল হাসান শিকদার এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সেমিনার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এইচ এম নাজমুল হুসাইন নাজির।
বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের গবেষণা এবং শিক্ষার মাধ্যমে আমরা টেকসই কৃষি উৎপাদন, নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য সরবরাহের চেইনকে উন্নত করার জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের ভেটেরিনারি, কৃষি, পশুপালন, মৎস্য, কৃষি প্রকৌশল এবং কৃষি অর্থনীতি অনুষদগুলো একসাথে মিলে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। ডিম উৎপাদন এবং এর মান উন্নয়নে ভেটেরিনারি এবং পশুপালন অনুষদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এর পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।