হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম—১ এর সামনে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবির ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মফিজউল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. এমদাদ হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড.মো.শামসুজ্জোহা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ। মেলায় বারি মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণ যন্ত্র, বারি শস্য ঝাড়াই যন্ত্র, বারি কমপোস্ট সেপারেটর, বারি শক্তি চালিত বাদাম মারাই যন্ত্র, মোবাইল বারি ভুট্টা মারাই যন্ত্র, বারি গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্রসহ আরও বেশ কিছু যন্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরবর্তীতে অডিটোরিয়াম—১ এ “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন, এআইই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সিদ্দিকুর রহমান, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুরল আমিন, সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির এআইই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন সরকার।
বক্তব্যকালে ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিদেশী প্রযুক্তির আদলে অনেক কম খরচে দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন। ফলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে, যদিও ইতোমধ্যে অনেক প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এতে কৃষির উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে গেছে, ম্যানপাওয়ার সেভ হচ্ছে এবং সময় কম লাগছে। আমরা ভোক্তা পর্যায়ে স্বল্প মূল্যে কৃষি পন্য ক্রয় করতে পারছি। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় দেশের অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় কৃষি, মৎস্য ও ভেটেরিনারি সেক্টরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এজন্য ছোট একটা দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা ১৮ কোটি জনগণের খাদ্যের যোগান দিতে পারছি।
পরিশেষে, তিনি এ ধরণের সেমিনার ও মেলা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।