হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ব ডিম দিবস -২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত ডিম দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উম্মে সালমা। আলোচনা সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইরি এন্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. তাহেরা ইয়াসমিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের (ছাপনিবি’র) পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামছুজ্জোহা এবং অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভার পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।র্যালিটি ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের বিল্ডিং থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং ফটক,বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক, প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে অডিটোরিয়াম-২ এ এসে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ডিম একটি অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এমনও দেখা যাচ্ছে যে, ডিমের দাম বেশি হওয়ার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ ডিম খেতে পারছে না। ডিম শুধু উচ্চবিত্তদের ব্রেকফাস্টে থাকলেই হবে না। সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষও যেন ডিম খেতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।আমাদেরকে উচ্চতর গবেষণা করতে হবে। যে গবেষণার মাধ্যমে খামারিরা কম খরচে মুরগি উৎপাদন করতে পারবে। খামারিরা কম খরচে মুরগি উৎপাদন করলে ডিমের দাম কম হবে এবং পান্তাভাত খাওয়া মানুষও ডিম খেতে পারবে।তবেই একটি মেধাভিত্তিক জাতি গঠন হবে এবং ডিমে শক্তি ডিমে মুক্তি, ডিমে হবে রোগমুক্তি কথাটি বাস্তবে রূপ পাবে।