মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় “গনতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মওলানা ভাসানী” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী গবেষক সৈয়দ ইরফানুল বারী, স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেমিনার উপকমিটির আহবায়ক ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজজাদ ওয়াহিদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন,
সমাজতন্ত্রের যিনি গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখেন তিনি গণতন্ত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে না। কিন্তু মওলানা ভাসানী ছিলেন এক উজ্জ্বল এবং ব্যতিক্রমী মানুষ। গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র অনেকের ধারণা আছে আবার অনেকের ভুল ধারণা আছে। একজন শাসকের শাসন ব্যবস্থা যদি ভালো হয় সেটা রাজশাসন আর খারাপ হলে স্বৈরাশাসন। এরিস্টটলের মতে অনেক জন মিলে যখন শাসন করে তাকে সমাজতন্ত্র বলে। মাওলানা ভাসানী সমাজতন্ত্র জন্য কাজ করেছেন এবং গণতন্ত্র জন্য আন্দোলন করেছেন। গনতন্ত্র মানে শুধু পাচ বছর পর পর ভোট দেওয়া না। গনতন্ত্র মানে আপনার ইচ্ছা মত সকল কাজ করতে পারা, সকল মৌলিক অধিকার সমাজ তাকে দিবে সেটাই গণতন্ত্র। সমাজতন্ত্রের যখন অধপতন হয় তখন গণতন্ত্র হয়।
মওলানা ভাসানী ইসলামের মর্মটা বুজেছিলেন। ধর্মের একটা মর্ম আছে, সেটা হচ্ছে ন্যায়বিচার। এই ন্যায়বিচারকে আপনি গণতন্ত্র বললেও বলতে পারেন, সমাজতন্ত্র বললেও বলতে পারেন। মওলানা ভাসানী শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি বাস্তবজ্ঞান দার্শনিকও ছিলেন। আমি মনে করি , মওলানা ভাসানীর পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাজনীতি মানে গোটা রাজ্যবাপী যে নীতি। নীতির রাজা হিসেবে রাজনীতি।
উল্লেখ্য, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম ওফাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে “গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মওলানা ভাসানী ” শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।