বাকৃবি সংবাদদাতা: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের (বাকৃবি) গ্রামীণ অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের ১১৫ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। ৭ দিনব্যাপী ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের কোর্ডিনেটর কৃষিব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই), পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা), বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বিএআরডি), কৃষি বিপণন বিভাগ (ডিএএম), সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এসএএফ বাংলাদেশ), সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (পিএলসি), যমুনা ব্যাংক (পিএলসি), পূবালী ব্যাংক (পিএলসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ( বিএআরসি) সহ মোট ১২ টি স্থানে অংশগ্রহণ করবেন অনুষদের ১১১ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ওই অনুষদের গ্যালারিতে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
গ্রামীণ অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. তাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে নোটবুক পেয়েছে তাতে যেন তারা পুরো জার্নির সকল কিছু লিপিবদ্ধ করে রাখে। তাছাড়া ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের পোস্ট ইভালুয়েশন হওয়া উচিত, যাতে পরবর্তীতে এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের কার্যপ্রক্রিয়া গুলো আরো উন্নত করা যায়।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান অর্জনের জন্য এ ধরনের ইন্টার্নশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি তাঁদের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি কর্মজীবনেও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।’
ইন্টার্নশিপ অনুষ্ঠানের সভাপতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ। মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটাতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
জানা যায়, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায়ে কৃষি অর্থনীতি, গ্রামীণ সমাজ এবং উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য থাকছে বিশেষ কর্মশালা এবং সেমিনার।
ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অনুষদের প্রথম ব্যাচ যারা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। বাস্তবজীবনের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। এমন আয়োজন আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাই আমরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।”