পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ২৪ চত্বর ও মুক্ত বাংলা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে এ দাবি জানায় তারা। পাশাপাশি হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার আল্টিমেটাম দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মো. জায়েদ তার বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজকে চট্টগ্রাম কোর্টে প্রকাশ্য দিবালোকে যা হয়েছে (মানুষ হত্যা) তা কোনো ধর্মের ধার্মিক মানুষ করতে পারে না। তারা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী। তিনি আরও বলেন, যাকে গ্রেফতার নিয়ে এই কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সে চিন্ময় কুমার আসলে কে সে! ৫ তারিখের পর থেকে তার বক্তব্য ছিল আওয়ামী পুনর্বাসনের বক্তব্য। সে তার বক্তব্যে বলেছে হাসিনা এবং শেখ মুজিবের জন্যই ইসকন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে এবং যারা হামলা করেছে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসময় হাফেজ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটির লক্ষ্যই হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সেইসাথে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে ইসকন মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না মঞ্জুর করায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় সনাতনী জাগরণী জোটের নেতা-কর্মীদের। এসময় সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এই হত্যাকান্ডে ইসকনের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।