Friday, March 28, 2025
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
HomeCampusভর্তি পদ্ধতিতে বিদ্যামান বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির সংস্কার আনবে শেকৃবি 

ভর্তি পদ্ধতিতে বিদ্যামান বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির সংস্কার আনবে শেকৃবি 

Print Friendly, PDF & Email

শেকৃবি সংবাদদাতা: কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে দেশজুড়ে গণ-আন্দোলন এবং ক্ষমতার বড় ধরনের পরিবর্তনের পরও রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি)  বিদ্যমান রয়েছে পুরনো কোটা পদ্ধতি। মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা এবং পোষ্যকোটা সহ   বিভিন্ন ধরনের কোটা  এখনো বিদ্যমান রয়েছে যা  সংশোধনের দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে অবহিত করেন।এবিষয়ে প্রশাসনিক সূত্র থেকে জানা যায়,শীগ্রই কোটা পদ্ধতি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ  এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যকর পরিবর্তন আনা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি ও শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, শেকৃবিতে মোট আসনের ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোটার আওতায় ভর্তি হন। এর মধ্যে ৩ শতাংশ আসন ‘ওয়ার্ড কোটা’(পোষ্য কোটা) হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬৯৮টি আসনের মধ্যে ৩২টি মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ মোট ৭৮টি আসনে কোটায় ভর্তি করানো হয়।

গত কয়েক বছরের পোষ্য কোটায় ভর্তিকৃত ছাত্রদের তালিকা বিশ্লেষণ করা জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৬ জন পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছে। তারমধ্যে কৃষি অনুষদে ৫ জন এবং ফিশারিজ অনুষদে ১ জন। ৬ জনের মধ্যে ৪ জন কৃষি গুচ্ছের নিয়ম অনুসারে এবং ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়ন অনুসারে ভর্তি হয়েছে। এর আগে ২৩ শিক্ষাবর্ষে ৭ জন, ২২ শিক্ষাবর্ষে ৫ জন এবং ২১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ভর্তি পরীক্ষায় বিদ্যমান সকল প্রকার কোটার যৌক্তিক পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৫ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের কাছে কোটা সংস্কারের জন্য আবেদন জমা দেন।

আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে শেকৃবির ভর্তি পরীক্ষায় বিদ্যমান ১১.৩৭ শতাংশ কোটা কমিয়ে সর্বমোট ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখছেন। প্রস্তাবিত কোটার মধ্যে ৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দের দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যা ৭০০ রাখা হোক এবং কোটার আসন সংখ্যা পূরণ না হলে মেধাতালিকা থেকে আসন পূরণের ব্যবস্থা করা হোক।

কোটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন,আমরা সকল প্রকার কোটা সংশোধনের পক্ষে।এবিষয়ে আমরা শীঘ্রই কমিটি গঠন করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসি যে নির্দেশনা দিবে সে আলোকেই আমরা সংশোধন নিয়ে আসবো।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments