গত শুক্রবার (২৪ মে) ‘সম্ভাবনার উন্মোচন ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৪৫টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও বিজ্ঞানী অংশ নেন। কৃষি সেক্টরের সব বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীন ও কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৪৫টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সেরা ২৬ জন বিজ্ঞানী ও গবেষকদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে আটটি সেশনে তিন শতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাসযোগ্য বিশ্ব গড়তে কৃষি গবেষণার বিভিন্ন কৌশল উপস্থাপন করা হয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে।
সাউরেসের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তৃতায় সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও গবেষক তৈরি করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নয়ন সাধন করেছে কৃষিবিজ্ঞানীদের কল্যাণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, ইউজিসির পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম ও সাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’