গবেষণার মাধ্যমে কৃষির নতুন জাত উদ্ভাবন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে প্রতিনিয়ত। কালো ধান বা বেগুন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। কালো ধানের সফলতার পর এবার চাষ শুরু হয়েছে কালো গমের। প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা এই গাম চাষ করছেন। কৃষকরা রবি মৌসুমে এই গম চাষ করেন। কালো ধান ও গমের ফসলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। এটি ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার, হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসার, মানসিক চাপ, ব্যথা এবং রক্তশূন্যতার মতো রোগের জন্য খুবই কার্যকর।
কালো গম দেখতে আকারে অন্যান্য গমের মতো তবে গমের রং কালো হয়। তবে কলো এই গমের ময়দা বেশি কালো নয়। এই গমের আটার রুটি দেখতে গোলাপি রর্ণের হয়। তবে এই গমের আটার বিস্কুট বা ব্রেড বানালে সেটার রং পুরোপুরি কালো হয়। আর গমের রং কালো হওয়ার জন্য যে উপাদানটি কাজ করে তার নাম হলো এন্থোসায়ানিন। এন্থোসায়ানিন শুধু গম নয় অন্যান্য ফলের রংয়ের জন্য দায়ী।
বিহারে সম্প্রতি কৃষকদের মধ্যে নানা পরীক্ষামূলক চাষের প্রবণতা বাড়ছে। ওখানকার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করে ভাল মুনাফা অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কালো ধানের পর কালো গমের চাষও করেছেন বাঁকা জেলার কৃষকরা। কালো ধানের পাশাপাশি কালো গমের চাষ করলে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যায় বলে মনে করছেন চাষিরা।
তাই দিন দিন এই গমের চাহিদা বেড়েই চলছে। কালো গম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা কেজি। কালো গম ও ধান চাষ করে তাঁদের মতো চাষিরা এখন বছরে পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করেন। এই গম সাধারণত নভেম্বর মাসে বপন করা হয় এবং বিঘায় উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল হয়।
আপাতত, এই গম শুধু ভারতেই পাওয়া যাচ্ছে এবং সেখানেই চাষ হচ্ছে। তবে হয়ত খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে কালো গমের চাষ শুরু হবে বলেও আমরা আশা রাখি।