বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিফা নূর ইবাদির আত্মহননের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। হলটির প্রভোস্ট ড. হেনা রাণি বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. হেনা রাণি বিশ্বাস। তদন্ত কমিটির অন্য দু’জন হলেন হলটির আবাসিক শিক্ষক সুমনা রাণী সাহা ও হোসনেয়ারা ডালিয়া।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. হেনা রাণি বিশ্বাস বলেন, শিফার আত্মহননের কারণ উদঘাটনের জন্যই আমি নিজে আহ্বায়ক হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তিনি বলেন, আমার এই শিক্ষার্থী শিফা কেন আত্মহননের পথ বেঁছে নিলো সেটিই আমরা বের করে আনার চেষ্টা করব। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জেনেছি, দর্শন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এবং সাম্প্রতিক তাদের প্রেমে জটিলতা চলছিলো। তদন্তে আমরা সব বিষয় নিয়েই খতিয়ে দেখব।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো৷ বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা চলছিলো। আত্মহননের দিনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঝগড়া ও হাতাহাতি করতে দেখা যায়। সর্বশেষ রাত সাড়ে নয়টার দিকে নোমান ও শিফাকে বঙ্গমাতা হলের রাস্তায় একসাথে দেখে শিফার এক বান্ধবী। তখন শিফাকে কান্নারত অবস্থায় হলে ফিরতে দেখে তাঁর বান্ধবী। এর পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আত্মহননের ঘটনা ঘটে। গত ১০ জুন শিফা নূর ইবাদির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রিডিংরুমের করিডোর থেকে। এর পর শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট ড. হেনা রাণি বিশ্বাস বলেন, আমরা ২৫ তারিখে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।