নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): জিংক দেহের অত্যাবশ্যকীয় অনুপুষ্টি। তবে পরিমাণে খুবই কম লাগে। পুরুষের জন্য জনপ্রতি ১১ মিলিগ্রাম। নারীর ক্ষেত্রে ৯ মিলিগ্রাম মাত্র। এর অভাবে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকল শ্রেণিপেশার মানুষের শরীরে এই পুুষ্টিউপাদানের ঘাটতি যেন না হয়, সেজন্য ইতোমধ্যেই ধানে ফর্টিফিকেশনের মাধ্যমে জিংক সংযোজন করা হয়েছে। এখন দরকার জিংকসমৃদ্ধ ধানের আবাদ বৃদ্ধি। একই সাথে প্রয়োজন এই জাতীয় চালের ভাত খাওয়া। তা বাস্তবায়ন হলে মানবদেহে জিংকের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত হবে । ২৭ জুন বরিশাল নগরীর খাদ্য ভবনের হলরুমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
খাদ্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল এলায়েন্স ফর এম্প্রোভড নিউট্রিশনের যৌথ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান। সভাপতিত্ব করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাহসিনুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপপরিচালক মো.রমিজুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর প্রিয় লাল বিশ্বাস, চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম জাহিদ, রাসেল অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী কামাল বখতিয়ার।
কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাইচ মিল মালিক চাল ব্যবসায়ী এবং জনপ্রতিনিধি মিলে ৮০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।