বাকৃবি প্রতিনিধি: ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। কেবল শিক্ষার্থী ভর্তি নয়, শিক্ষক নিয়োগেও ডোপ টেস্ট আমরা বাধ্যতামূলক করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের কোন স্থান নেই।’
শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন।
‘মাদকমুক্ত দেশ গড়ি, মাদককে না বলি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ ময়মনসিংহ রেঞ্জের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মো. আজিজুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো—অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মো. আজিজুল ইসলাম।
মাদকাসক্তির কারণ, সামাজিক কুফল— প্রভাব, মাদক সেবনের শাস্তি, প্রতিরোধের উপায় ও উত্তরণের নানান দিক আলোচনা করে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ও স্লাইড প্রদর্শন করেন ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৫ম। কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে মাদকে আসক্তের পরিমাণ অত্যধিক, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মাঝে। তাই আমরা এসেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তাই এই ভয়ঙ্কর মাদকের বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন।’
এ সময় উপস্থিত সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান ডিআইজি।
পুলিশ সুপার জনাব মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক সেবনকারী, মাদক চালানকারী, মাদক উৎপাদনকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।’