বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আল্টিমেটামে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্য পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য কার্যালয়ের লোকজন বের করে দিয়ে দু’টি কেচি গেট তালাবদ্ধ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় উপাচার্যের নামফলক তুলে দিয়ে কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
জুলাই বিল্পবের স্পিরিট ধারণ না করা এবং বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলে আজ দুপুরের মধ্য আল্টিমেটাম দেন। আজ ১২ টার পর শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামেন এবং উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। উপাচার্য মঙ্গলবার রাত থেকেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। তিনি প্রশাসনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও সাংবাদিকদেরকে এড়িয়ে চলছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. মোকাব্বেল শেখ বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগের আল্টিমেটাম ছিলো কিন্তু তিনি পদতগ করেননি। আজকে আমরা তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্রীয়াশীল সংগঠনদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, আল্টিমেটামে বেধে দেয়া সময়ের মধ্য উপাচার্য পদত্যাগ না করায় উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। তিনি দ্রুত পদত্যাগ না করলে এরপর আমরা ভিসির বাংলো ঘেরাও করবো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ছাত্রদলের ববি শাখার সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, এই উপচার্য আওয়ামী দোসরদের পুর্নবাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সর্বশেষ বিতর্কিত ব্যক্তিকে ট্রেজারার হিসেবে যোগদানে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার বিরোধিতা সত্ত্বেও সহযোগিতা করেছে উপাচার্য। এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজই ঠিক সময়মতো করেন না। তিনি তার নিজের গতিতে চলেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মতো পরীক্ষার রিজাল্ট পাচ্ছেন না, মেডিকেলে গেলে ঔষধ মিলছে না। সার্বিক বিষয় মিলে আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন করছি। আজকে আমরা সবাই শিক্ষার্থীরূ মিলে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছে বিষয়টি আমরা অবগত আছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।