পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ র্যাগিংয়ের অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পবিপ্রবি রেজিস্টার (অ.দা.) প্রফেসর ড. মামুন অর রশিদ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৪০ তম সভা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ১ ঘটিকা ৩০ মিনিটে এম কেরামত আলী হলের নবাগত ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষের (লেভেল-১, সেমিস্টার -১) শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের (লেভেল-২ সেমিস্টার-২) কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপর।
অভিযুক্তদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তানভিরুল ইসলাম সিয়াম ও প্রিতম কারনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন সেমিস্টার বহিষ্কার। কৃষি অনুষদের মোঃ ইউনুস খান ইফতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জুনায়েদ হোসাইনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়।
আরও আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের সৌরভ সরকার শাওন, কৃষি অনুষদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জিহাদ হাসান জিম, আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের গোলাম রাব্বি, কৃষি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের ওমর ফারুক, সিএসসি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের খালিদ মাহমুদ রুপক,আইন অনুষদের শের ই বাংলা – ২ হলের খালিদ হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ইসতিয়াক আহমেদ রিহাব,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মোঃ জুনায়েদ আল হাবিব জিন্নাহ, কৃষি অনুষদের শের ই বাংলা -১ হলের সাহিব আহমেদ চৌধূরীকে ১ বছর হল থেকে বহিষ্কার ও ১ বছর জরিমানা।
আরও কৃষি অনুষদের এম কেরামত আলী হলের এম এ জুবায়ের, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মোঃ সোহেল ও আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের সনাতন চন্দ্র রায়কে হল থেকে ছয় মাস বহিষ্কার ও ছয় মাস জরিমানা করা হয়।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের কাচিং মং মারমা, ব্যবসা য় প্রশাসন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মোঃ নুর মোহাম্মদ সরকার, আইন অনুষদের এম কেরামত আলী হলের মিনহাজুল ইসলাম কে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আইন অনুষদের শের-ই বাংলা -২ অনুষদের সুপেল চাকমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, সেমিস্টার বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা কোন মতে ক্যাম্পাসে ও হল বহিষ্কাররা কোন ভাবে হলে অবস্থান করতে পারবে না। আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের মধ্যে দন্ডিত অর্থ জমা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। দন্ডিত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।