ববি সংবাদদাতাঃ সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন সহ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে গিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষকরা। ফলে আজ (০১ জুলাই) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে অচল অবস্থার মধ্যে পড়ে সেশনজটে পড়ার আশংকা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায় সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরল শিক্ষকরা। গত দু’মাস ধরে বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সহ সর্বশেষ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আজ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
গ্রীষ্মকালীন ও ঈদ সহ একের পর এক দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করলেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেশনজটের দুশ্চিন্তা করছে শিক্ষার্থীরা। পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকটে পূর্ব থেকেই সেশন জটে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগ। এছাড়াও সঠিক সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় তীব্র আশংকায় জীবনযাপন করছে চাকরি প্রত্যাশি শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় শিক্ষকদের আন্দোলনের কারনে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখছেন অনেকে।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন,” একের পর এক ছুটি আর বিভাগের নানান সমস্যার কারণে এমনিতেই প্রায় আড়াই বছরেও শেষ হয়নি দ্বিতীয় বর্ষ।কবে নাগাদ হবে তাও অনিশ্চিত। এর মধ্যেই এই কর্মবিরতি আমাদের আরো কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবে। এতে আমরা সেশনজট নামের অভিশপ্ত জীবনের ঝুঁকিতে পড়ছি। যা আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। তাই আমি চাই এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সমাধান করুন এবং এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করে যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়।”
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন,”কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষন করেই আমাদের একই আন্দোলন যা আজ থেকে শুরু হয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। এসময় সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এমন কি সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম ও বন্ধ থাকবে।” এ সময় সেশন জটের আশঙ্কা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ,”হ্যা,আন্দোলনটি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে কিছুটা সেশনজট হতে পারে। তবে আমরা শিক্ষকরা চেষ্টা করবো অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যাতে না হয় তা বজায় রাখার। “সেশনজটের শঙ্কার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন,”এ সমস্যা সারা বাংলাদেশেরই। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ সমস্যা থেকে উত্তরণের।”