হাবিপ্রবি সংবাদদাতাঃ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের এম.এস. ডিফেন্স এবং ব্যানবেইস অর্থায়নে “টেকসই কৃষি উন্নয়নে জৈব বালাইনাশকের ভূমিকা ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষণাগারে উক্ত ডিফেন্স এবং সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ডিফেন্স এবং সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: মহিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মো. মোবারক হোসেন, অধ্যাপক ড. এ.টি.এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম এমদাদুল হাসান, প্রভাষক মো. মবিনুল ইসলাম এবং প্রভাষক মো. আহসান হাবীব। মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের গবেষণালব্দ্ধ ফলাফল উপস্থাপনের মাধ্যমে উক্ত থিসিস ডিফেন্সটি সম্পন্ন করেছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের ল্যাব টেকনিশিয়ান, কর্মচারীগণ এবং নবীন ও মাস্টার্স এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: মহিদুল হাসান বলেন, “যারা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করতে চলেছো তোমাদের সবার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। আমরা ভবিষ্যতে তোমাদের যেকোনো রকমের সহযোগিতা করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকব।”
একই দিনে ডিফেন্স সম্পন্ন হওয়ার পর ব্যানবেইস অর্থায়নে ” টেকসই কৃষি উন্নয়নে জৈব বালাইনাশকের ভূমিকা” শীর্ষক একটি সেমিনার উক্ত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষণাগারে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং (আই আর টি) এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সুলতান মাহমুদ এবং অন্যান্য সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। উক্ত সেমিনারে টেকসই কৃষি উন্নয়নে জৈব বালাইনাশকের ভূমিকা -এর উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিদুল হাসান। বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে তিনি কৃষি শস্য উৎপাদনে বালাইনাশকের যথেচ্ছ ব্যাবহার এবং বায়ো ফর্মুলেশনের মাধ্যমে রোগবালাই দমনের সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে উদ্ভাবিত জৈব বালাইনাশক বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে কৃষক পর্যায়ে ব্যাবহার করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করা হয়।