পরিতোষ ভট্টাচার্যঃ প্রায়শই দেখা যায়, কৃষকেরা আচ্ছাদন শস্যের চাষ নিয়ে নিরাসক্ত। এটা ঠিক নয়। জমির ভৌমিক,রাসায়নিক ও জৈবিক ধর্মের উন্নতি ঘটাতে আচ্ছাদন শস্যের ভূমিকা প্রচুর। আচ্ছাদন শস্য এমন এক ধরণের উদ্ভিদ, যা মাটি ঢেকে রাখার জন্য রোপণ করা হয়। আচ্ছাদিত ফসল মাটির ক্ষয়, মাটির উর্বরতা, মাটির গুণাগুণ, জল, আগাছা, কীটপতঙ্গ রোগ, জীব বৈচিত্র্য নিয়ন্ত্রণ করে।
আচ্ছাদন শস্য বা কভার ক্রপ দুই ধরণের — ১) শিম্বি জাতীয় ( leguminous) ২) অ – শিম্বী জাতীয় ( non leguminous)। শিমবি জাতীয় আচ্ছাদন শস্য রাইজোবিয়াম জীবাণুর সাহায্যে জমিতে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে ও জমির উর্বরতা বাড়ায়। অ-শিমবী জাতীয় উদ্ভিদ যেমন ঘাস বা তৃণ মাটি ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রচলিত আচ্ছাদন শস্যের নাম আলকুশী ( Mucuna),অড়হর ( Pogeon pea) , শন ( Sunhemp) , সুবাবুল ( Leucaena) , লাল ক্লোভার ( Red Clover) ইত্যাদি।
ঘাস, বারসিম ও বাদাম জাতীয় গাছ মাটিতে ওপরের অংশে আবরণের কাজ করে। ফলে বৃষ্টির কনা সরাসরি মাটিতে আঘাত করতে পারে না। ফসলের আবরণ যত বেশি ঘন হবে, ভূমিক্ষয় তত কম হবে। অতএব, আচ্ছাদন শস্য – কে গুরুত্ব দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
লেখকঃ প্রাক্তন নির্দেশক, জাতীয় জৈব কৃষি কেন্দ্র, ভারত সরকার।