নিজস্ব প্রতিনিধি: সাপাহারে এডাপটেশন ক্লিনিকের মাধ্যমে ‘মাছ আহরণ দিবস’ পালন করা হয়। আজ ০৮ জানুয়ারি (বুধবার) মহজিদ পারা হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে এ দিবস পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম হেড জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি তৈসিফ আহমেদ কোরেশী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা- তুজ-জোহরা, এডাপটেশন ক্লিনিক এরিয়া ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্টর স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ মোঃ মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষক মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চাষী মো: আব্দুর রহমান বলেন, “এত কম সময়ে এর আগে কখনোই মাছ বাজারজাত করতে পারি নাই। এবার করতে পারছি তার কারণ ব্র্যাকের কৃষি ডাক্তারদের সহায়তায় এবার বড় মাছের পোনা ছাড়ছিলাম।” তিনি গত বছর জুলাই মাসে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া ও মলা মাছ ছেড়েছিলেন। আজকে তিনি প্রায় ১৪৮ (রুই ৭০ কেজি, কাতলা ৬০, তেলাপিয়া ১৫, মলা, পুটি ২.৫ কেজি) কেজি মাছ বিক্রি করেছেন।
গড়পড়তা ৪ ইঞ্চি সাইজ পোনা না ছেড়ে বড় আকারের ৭-৮ ইঞ্চি পোনা ছাড়া হয়। ভালো মানের পোনা চাষীদের জন্য নিশ্চিত করা হয়। নিয়মিত চুন ও সার দেয়ার কারণে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো হয়। কার্প মাছের সাথে মলা মাছের পোনা ছাড়া হয়। একবার মলা মাছের পোনা ছাড়লে বছরে তিন বার প্রজননের মাধ্যমে পুকুরে এটি টিকে থাকে। যা চাষীদের আর্থিক লাভের পাশাপাশি পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সাপাহার অঞ্চলে বিজ্ঞানসম্মত ও টেকসই মাছ চাষের ব্যবস্থা গড়ে তুললে এখানকার মৎস্য খাত উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের জীবিকা এবং খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হবে। এমনটাই অভিমত মাছ আহরণ দিবসে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের।
অনুষ্ঠানে এলাকার কৃষক, মাছ চাষী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির, কর্মসূচি প্রধান, জনাব আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি ব্যবস্থাপক, জনাব তৌসিফ আহমদ কোরেশী এবং ব্র্যাকসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।