Friday, March 28, 2025
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
HomeCampusবাকৃবিতে মাঠ দিবস ও গাজর-টমেটো উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ

বাকৃবিতে মাঠ দিবস ও গাজর-টমেটো উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ

Print Friendly, PDF & Email

বাকৃবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে গাজর ও টমেটো উৎপাদন বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব খামারে ময়মনসিংহের প্রায় অর্ধশত কৃষক ওই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন, কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলম ভূঁঞা, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে খরা একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটি গাজর ও টমেটোর উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম। এর ফলে, মানুষের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ এবং সি এর ঘাটতি হচ্ছে। তাই, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টিকর রঙিন গাজর ও টমেটো উৎপাদন এবং প্রসারণ এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর অক্টোবর মাসে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে গাজর- টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই চারা ও বীজের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। চর এলাকায় কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফলন আরও বৃদ্ধি করাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

প্রশিক্ষণের বিষয়ে কৃষক জিলানী বলেন, ‘আমি গাজর ও টমেটো চাষ করে সফল হয়েছি। চর এলাকায় গাজরের ফলন খুব সুন্দর হয়েছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে খামারিরা আগের চেয়ে যে অনেক বেশি ইনোভেটিভ হয়েছে, তাতে বাকৃবির বিশেষ অবদান রয়েছে যেটা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। আর সেই তাড়না থেকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ অনেক গবেষণামুখী। এই গবেষণা হওয়া উচিত মানুষের জন্য, দেশের জন্য।’

উপাচার্য বলেন, ‘কৃষক ও খামারিদের রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিকরণ করতে হবে। গাজর-টমেটো হতে শুরু করে সকল কিছুতে আমাদের আরো গবেষণা বাড়াতে হবে। আর সেই গবেষণার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।’

উল্লেখ্য, শীতকালীন সবজি হিসেবে বিভিন্ন রঙের গাজর, টমেটোর দেশীয় জাত উদ্ভাবনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ও তাঁর গবেষকদল। এই প্রকল্পের আওতায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রঙের ৪০টি গাজরের জার্মপ্লাজম ও ২০টি টমেটোর জার্মপ্লাজম নিয়ে গবেষণা চলছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments